২৪ শে জানুয়ারি ২৪জনের রক্তস্নান: শেখ হাসিনার শাসনে এরশাদকে পুরস্কৃত করার কালো অধ্যায়"

২৪ শে জানুয়ারি ২৪জনের রক্তস্নান: শেখ হাসিনার শাসনে এরশাদকে পুরস্কৃত করার কালো অধ্যায়"

sub-editor    ০১:১৮ পিএম, ২০২৫-০১-২৩    40


২৪ শে জানুয়ারি ২৪জনের রক্তস্নান: শেখ হাসিনার শাসনে এরশাদকে পুরস্কৃত করার কালো অধ্যায়

"২৪ শে জানুয়ারি ২৪জনের
রক্তস্নান: শেখ হাসিনার শাসনে এরশাদকে পুরস্কৃত করার কালো অধ্যায়"
মো. কামাল উদ্দিনঃ ১৯৮৮ সালের সেই  ২৪ শে জানিয়ারী, লালদিঘির রক্তমাখা  দিনর কালো অধ্যায়- যেখানে ২৪ জন শহীদের বুকের রক্তের বিনিময়ে বেঁচে গিয়েছিল একটি নাম—শেখ হাসিনা, যে নাম তখন ছিল সংগ্রামের প্রতীক, স্বৈরাচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের মশাল। কিন্তু ইতিহাস আজও প্রশ্ন তোলে, সেই রক্তের দামে কি গড়ে উঠেছিল ন্যায়ের শাসন? নাকি সেই শহীদদের বুকের রক্ত পরিণত হলো রাজনীতির বেঈমানী আর প্রতারণায়? শেখ হাসিনা, যিনি একদিন এরশাদের গুলির লক্ষ্য ছিলেন, সেই হাসিনাই পরবর্তীতে তাকে রাজার আসনে বসালেন। স্বৈরাচারীর কলঙ্ক মুছে, বানালেন ক্ষমতার অংশীদার, যে এরশাদ একদিন নেতৃত্ব শূন্য করতে চেয়েছিল, তাকে দিয়েছিলেন রাজনীতির বৈধতা আর সম্মান। সেই হাসিনার শাসনও স্বৈরাচারী শিকলে বাঁধা ছিল, গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্রের নির্মম চিত্র। যে শহীদরা বুকের রক্ত দিয়ে পথ দেখিয়েছিল, তাদের আত্মত্যাগ ম্লান হলো বেঈমানীর ছায়ায়। শেখ হাসিনা আর তার সরকার, যারা ক্ষমতার নেশায় দেশকে বানিয়েছে খেলাঘর, আজ শেখ হাসিনাসহ তারা সবাই নির্বাসনের পথে, দেশছাড়া, স্বজনহীন, ভীত-সন্ত্রস্ত ভবিষ্যৎ। রাজনীতি আর ষড়যন্ত্রের এই অন্ধকার অধ্যায়, তাদের শাসনের শেষ পাতা লিখে দেয় সময়। লালদিঘির সেই শহীদরা আজও নীরব সাক্ষী, যাদের রক্ত দিয়ে গড়ে উঠেছিল প্রতিরোধের গল্প, তারা কি এই প্রতারণা আর বেঈমানী মেনে নেবে? নাকি ইতিহাস তাদের রক্তের দাবিতে আবারও কলম ধরবে, বিচার চাইবে নতুন করে? সময়ের দর্পণে আজ স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি, শেখ হাসিনা আর তার শাসনের কলঙ্কিত অধ্যায়। যে দেশ একদিন ছিল শহীদদের ত্যাগের ফসল, তা আজ শাসকের লোভের হাতে বন্দী।
এটাই কি ছিল লালদিঘির রক্তের প্রতিশ্রুতি? বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ হাসিনা ও এরশাদের সম্পর্ক একটি বিতর্কিত অধ্যায়। যেখানে এরশাদ ছিলেন একজন স্বৈরাচারী শাসক, যিনি ১৯৮২ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় থেকে গণতন্ত্র ধ্বংস করে স্বৈরতন্ত্র কায়েম করেছিলেন, সেখানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগই ছিল তাঁর একনায়কতন্ত্রের বিরুদ্ধে সবচেয়ে সক্রিয় আন্দোলনকারী দল। কিন্তু পরবর্তীতে রাজনৈতিক সুবিধার জন্য শেখ হাসিনা সেই একই এরশাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক স্থাপন করেন, যা নৈতিকতার প্রশ্নে সমালোচিত।
এরশাদের শাসনামল ও ২৪ জানুয়ারির গণহত্যা ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে শেখ হাসিনার জনসভায় এরশাদের নির্দেশে পুলিশ নির্বিচারে গুলি চালায়। এই বর্বরোচিত হামলায় ২৪ জন নিহত হন এবং আহত হন ৩০০-এর বেশি মানুষ। সেদিন শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল এরশাদের পুলিশ। এই গণহত্যা ছিল বাংলাদেশে গণতন্ত্র রক্ষার আন্দোলনের একটি কলঙ্কিত অধ্যায়।
তৎকালীন স্বৈরশাসক এরশাদ ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে এই ধরনের নিপীড়নমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেন। এরশাদের বিরুদ্ধে থাকা রাজনৈতিক দলগুলো (আওয়ামী লীগ এবং বিএনপি) একত্রিত হয়ে স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন পরিচালনা করেছিল। শেখ হাসিনা তখন ছিলেন গণতান্ত্রিক আন্দোলনের একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতীক। এরশাদের পুনর্বাসন: শেখ হাসিনার ভূমিকা ৯০-এর দশকে এরশাদ সরকার পতনের পর গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়। আওয়ামী লীগ দীর্ঘদিন এরশাদের বিরুদ্ধে অবস্থান নিলেও ২০০৮ সালে ক্ষমতায় এসে শেখ হাসিনা তার রাজনৈতিক স্বার্থে এরশাদের জাতীয় পার্টিকে পুনর্বাসিত করেন। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার এরশাদকে রাজনীতিতে জায়গা দেয়, তাকে রাষ্ট্রীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদান করে এবং তার দল জাতীয় পার্টিকে জোটের অংশীদার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা প্রদান করে। এরশাদের মৃত্যু পর্যন্ত তাকে "বিশেষ উপদেষ্টা" পদে রাখা হয় এবং রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সমাধিস্থ করা হয়।
এই সিদ্ধান্তগুলো শেখ হাসিনার রাজনৈতিক নৈতিকতার প্রশ্ন তোলে। গণতন্ত্র ও ন্যায়ের পক্ষে একজন নেত্রীর অবস্থান এরশাদের মতো একজন স্বৈরশাসকের পৃষ্ঠপোষকতায় প্রশ্নবিদ্ধ হয়। গ্রেনেড হামলা এবং ২৪ জানুয়ারির হত্যাচেষ্টা: রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের পুনরাবৃত্তি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার উপর গ্রেনেড হামলা চালানো হয়। বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সময় এই হামলা চালানো হয়েছিল শেখ হাসিনাকে হত্যা করে আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব শূন্য করার জন্য। তৎকালীন সরকার এই ঘটনায় পুলিশি সহযোগিতা ও তদন্ত প্রক্রিয়া ভণ্ডুল করার চেষ্টা করেছিল
বলে শেখ হাসিনার ধারণা- এবং শেখ হাসিনা নিশ্চিত ধরে নিয়েছে বি এনপি সরকার তাকে হত্যার চেষ্টা করেছিল। 
অন্যদিকে, ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারির ঘটনায় এরশাদের পুলিশ সরাসরি শেখ হাসিনাকে হত্যার চেষ্টা চালায়। একই ধরনের দুটি ঘটনার পেছনে দুই ভিন্ন সরকার থাকলেও শেখ হাসিনা এরশাদের হত্যাচেষ্টাকে একসময় ভুলে গিয়ে তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠ রাজনৈতিক সম্পর্ক গড়ে তোলেন।
সমালোচনার দিক এরশাদকে পুনর্বাসন: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ এরশাদের মতো একজন স্বৈরাচারী শাসককে পুনর্বাসিত করেছে, যা নৈতিকভাবে অগ্রহণযোগ্য। গণতন্ত্র ধ্বংসের জন্য দায়ী একজন নেতাকে সুযোগ দিয়ে আওয়ামী লীগ তার আদর্শিক অবস্থান থেকে সরে আসে। ন্যায়বিচারের প্রশ্ন: ২৪ জানুয়ারির হত্যাকাণ্ডে এরশাদের সরাসরি নির্দেশ থাকলেও শেখ হাসিনার সরকার তাকে বিচারের মুখোমুখি না করে রাজনৈতিক সহযোগী বানিয়েছে। এর মাধ্যমে শহীদ পরিবারের প্রতি ন্যায়বিচার নিশ্চিত হয়নি। বিরোধী দলের প্রতি দমনমূলক আচরণ: এরশাদের আমলে যেভাবে বিরোধী দলকে দমন করা হয়েছিল, তেমনি শেখ হাসিনার সরকারও বিরোধী দলের ওপর কঠোর দমননীতি প্রয়োগ করেছে। বিশেষ করে বিএনপি নেত্রী খালেদা জিয়াকে দীর্ঘদিন কারাবন্দি রাখা এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের হয়রানি করার ঘটনাগুলো গণতান্ত্রিক চেতনাকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে।
রাজনৈতিক সুবিধাবাদ: শেখ হাসিনার রাজনীতিতে এরশাদের দলকে সমর্থন দেওয়া এবং একই সঙ্গে বিএনপির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ একটি দ্বিমুখী নীতি প্রকাশ করে।
গণতন্ত্র রক্ষা এবং জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠায় শেখ হাসিনার ভূমিকা অবশ্যই প্রশংসনীয়। কিন্তু তাঁর সরকারে এরশাদের পুনর্বাসন, ২৪ জানুয়ারির হত্যার দায়ীদের প্রতি নমনীয়তা এবং রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের প্রতি কঠোর দমননীতি তার নেতৃত্বের নৈতিকতার প্রশ্ন তোলে। একজন মহান নেতা হিসেবে শেখ হাসিনার উচিত ছিল ন্যায়বিচার এবং গণতান্ত্রিক চেতনার প্রতি দৃঢ় অবস্থান নেওয়া। এরশাদের মতো স্বৈরাচারীর প্রতি সহানুভূতি দেখানো তার নেতৃত্বের ভাবমূর্তিকে আঘাত করেছে। এ থেকে শেখ হাসিনা ও তাঁর দলকে শিক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।
১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার জনসভায় পুলিশের গুলিতে যারা নিহত হয়েছিলেন, তাদের মধ্যে পরিচয় নিশ্চিত হওয়া ২৪ জনের নামের তালিকা নিচে দেওয়া হলো:
১। মো. হাসান মুরাদ,২। মহিউদ্দিন শামীম,৩। স্বপন কুমার বিশ্বাস,
৪। এথেলবার্ট গোমেজ কিশোর,
৫। স্বপন চৌধুরী, ৬। অজিত সরকার,
৭। রমেশ বৈদ্য, ৮। বদরুল আলম,
৯। ডি কে চৌধুরী, ১০। সাজ্জাদ হোসেন, ১১। আব্দুল মান্নান,
১২। সবুজ হোসেন, ১৩। কামাল হোসেন, ১৪। বি কে দাশ, 
১৫। পঙ্কজ বৈদ্য, ১৬। বাহার উদ্দিন,
১৭। চান্দ মিয়া, ১৮। সমর দত্ত 
১৯। হাসেম মিয়া,  ২০। মো. কাসেম,
২১। পলাশ দত্ত, ২২। আব্দুল কুদ্দুস,
২৩। গোবিন্দ দাশ, ২৪। শাহাদাত,
এই ভয়াল দিনটি ইতিহাসে চট্টগ্রাম গণহত্যা দিবস নামে পরিচিত। এছাড়াও, ঘটনার দিন অজ্ঞাত আরও ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়, যাদের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়নি। ২৪ জানুয়ারির গণহত্যা ও এরশাদ-শেখ হাসিনার রাজনৈতিক সম্পর্ক নিয়ে বিশ্লেষণ-১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি চট্টগ্রামের লালদীঘি ময়দানে পুলিশের গুলিতে ২৪ জন নিরীহ মানুষের প্রাণহানির ঘটনা বাংলাদেশের রাজনীতিতে এক কালো অধ্যায় হিসেবে চিহ্নিত। তৎকালীন স্বৈরাচারী এরশাদ সরকারের পুলিশ বাহিনী শেখ হাসিনাকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে নিরীহ জনতার ওপর নির্বিচারে গুলি চালায়। শেখ হাসিনা ভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও বহু প্রাণ অকালে ঝরে যায়। এই গণহত্যার মামলা প্রথমে স্থগিত থাকলেও ১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর মামলাটি পুনরুজ্জীবিত হয়। ২০০০ সালের ৯ মে বিচার কার্যক্রম শুরু হয়। দীর্ঘসূত্রিতার পর ২০২০ সালের ২০ জানুয়ারি এই মামলার রায় ঘোষণা করা হয়। আদালত পাঁচ পুলিশ সদস্যকে মৃত্যুদণ্ড দেন। যদিও এরশাদ সরাসরি এই মামলায় অভিযুক্ত হননি, এটি তৎকালীন স্বৈরাচারী শাসনের ভয়াবহতাকে প্রমাণ করে।
এরশাদকে বিচার না করে রাজনৈতিক পুরস্কার কেন?- শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পর, এরশাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার বদলে তাকে রাজনৈতিকভাবে পুনর্বাসিত করা হয়। এরশাদকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় শেষ বিদায় জানানো হয়, যা অনেকের মধ্যে ক্ষোভ ও হতাশা সৃষ্টি করেছে। এরশাদ ছিলেন ১৯৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারির হত্যাকাণ্ডের পরোক্ষ নির্দেশদাতা। সেই হিসেবে তাকে শাস্তির আওতায় আনা উচিত ছিল। এরশাদকে পুনর্বাসিত করার পেছনে শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল এবং স্বার্থ জড়িত ছিল। বিরোধী দল বিএনপি এবং খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে এরশাদের জাতীয় পার্টিকে মিত্র হিসেবে ব্যবহার করা হয়। এই রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত দেশের গণতন্ত্র এবং নৈতিকতার জন্য এক প্রশ্নবিদ্ধ অধ্যায়। শেখ হাসিনার বর্তমান পরিণতি- শেখ হাসিনা বাংলাদেশের ইতিহাসে অন্যতম প্রভাবশালী নেতা হিসেবে চিহ্নিত। তার নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক ও সামাজিক ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন সাধন করেছে। তবে, তার দীর্ঘ মেয়াদের শাসনকালে নৈতিক ও নীতিগত সিদ্ধান্তের ঘাটতি একাধিকবার বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। আজ শেখ হাসিনা যে পরিস্থিতির মুখোমুখি: ১। তার দীর্ঘ শাসনকালকে কেন্দ্র করে দেশে একক ক্ষমতার দাপট প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।২। গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল হয়েছে, এবং বিরোধী দলের কার্যক্রম প্রায় স্তব্ধ হয়ে গেছে। ৩। রাজনীতিতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতার অভাব রয়েছে।
৪। আন্তর্জাতিক মহলে তার সরকারের কিছু সিদ্ধান্ত সমালোচিত হয়েছে।
শেখ হাসিনা ও এরশাদের সম্পর্কের ফলাফল এরশাদকে পুনর্বাসিত করার সিদ্ধান্ত শেখ হাসিনার রাজনীতিতে এক দ্বৈত মানসিকতার প্রতিফলন। এরশাদের মতো একজন স্বৈরাচারীকে পুরস্কৃত করা কেবল তার নিজের রাজনৈতিক অবস্থানকে শক্তিশালী করার জন্য করা হয়েছিল। কিন্তু এটি গণতন্ত্র এবং ন্যায়বিচারের মূল্যবোধের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
শেখ হাসিনা যদি রাজনৈতিক আদর্শের প্রতি আরও সৎ থাকতেন এবং এরশাদের মতো স্বৈরাচারী নেতাদের শাস্তির আওতায় আনতেন, তবে তিনি ইতিহাসে আরও মর্যাদার সঙ্গে প্রতিষ্ঠিত হতে পারতেন। কিন্তু আজ তার এ ধরনের রাজনৈতিক আপস তাকে নৈতিকতার প্রশ্নে পিছিয়ে রেখেছে।
দেশবাসীর প্রত্যাশা, ভবিষ্যতে বাংলাদেশে এমন রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে যা ন্যায়বিচার, গণতন্ত্র এবং নৈতিকতাকে সবার ওপরে স্থান দেবে।
লেখকঃ যুগ্ম সম্পাদক-দৈনিক ভোরের আওয়াজ ওThe Daily banner, গবেষক, এবং টেলিভিশন উপস্থাপক।


রিটেলেড নিউজ

চট্টগ্রামের কসাই লেদুর  আলিশান খাওয়া-দাওয়া  চট্টগ্রাম কারাগারে।

চট্টগ্রামের কসাই লেদুর আলিশান খাওয়া-দাওয়া চট্টগ্রাম কারাগারে।

sub-editor

চট্টগ্রামের কসাই লেদুর  আলিশান খাওয়া-দাওয়া  চট্টগ্রাম কারাগারে।  বিস্তারিত আজগর আলি মানিক... বিস্তারিত

স্বৈরাচার সরকারের আমলে। সবচাইতে বেশি নির্যাতিত আমি ।

স্বৈরাচার সরকারের আমলে। সবচাইতে বেশি নির্যাতিত আমি ।

sub-editor

স্বৈরাচার সরকারের আমলে একাধিক মামলা আসামি হয়ে   কারাগারে ছিলাম আমি সবুজ।  দলের জন্য  কর্মী... বিস্তারিত

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার টাকা দিলে মাদকসহ সব সুযোগ-সুবিধা মেলে

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার টাকা দিলে মাদকসহ সব সুযোগ-সুবিধা মেলে

sub-editor

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার টাকা দিলে মাদকসহ সব সুযোগ-সুবিধা মেলে   আজগর আলি মানিক এর রিপোর্ট... বিস্তারিত

বিদেশে পালিয়ে যেতে বিমানবন্দরে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চট্টগ্রামের ‘সোনা চোরাচালানে’ অভিযুক্ত আবু আহমেদ ওরফে সোনা আবু।।।।।।।

বিদেশে পালিয়ে যেতে বিমানবন্দরে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চট্টগ্রামের ‘সোনা চোরাচালানে’ অভিযুক্ত আবু আহমেদ ওরফে সোনা আবু।।।।।।।

sub-editor

বিদেশে পালিয়ে যেতে বিমানবন্দরে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চট্টগ্রামের ‘সোনা চোরাচালানে’ অভিযুক্ত... বিস্তারিত

সোচ্চার

সোচ্চার

sub-editor

সোচ্চার """""""""""" ছাত্র ছাত্রী আমরাই বীর হব'না জীবনে দম্য ধীর পেলাম যাদের শিক... বিস্তারিত

শাফায়াত হোসেন সোহাগ ও তার সহযোগীরা কোটি টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ।

শাফায়াত হোসেন সোহাগ ও তার সহযোগীরা কোটি টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ।

sub-editor

শাফায়াত হোসেন সোহাগ ও তার সহযোগীরা কোটি টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ। ইউরোপ নেবার কথা বলে কোটি কোটি টা... বিস্তারিত

সর্বশেষ

চট্টগ্রামের কসাই লেদুর  আলিশান খাওয়া-দাওয়া  চট্টগ্রাম কারাগারে।

চট্টগ্রামের কসাই লেদুর আলিশান খাওয়া-দাওয়া চট্টগ্রাম কারাগারে।

sub-editor

চট্টগ্রামের কসাই লেদুর  আলিশান খাওয়া-দাওয়া  চট্টগ্রাম কারাগারে।  বিস্তারিত আজগর আলি মানিক... বিস্তারিত

স্বৈরাচার সরকারের আমলে। সবচাইতে বেশি নির্যাতিত আমি ।

স্বৈরাচার সরকারের আমলে। সবচাইতে বেশি নির্যাতিত আমি ।

sub-editor

স্বৈরাচার সরকারের আমলে একাধিক মামলা আসামি হয়ে   কারাগারে ছিলাম আমি সবুজ।  দলের জন্য  কর্মী... বিস্তারিত

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার টাকা দিলে মাদকসহ সব সুযোগ-সুবিধা মেলে

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার টাকা দিলে মাদকসহ সব সুযোগ-সুবিধা মেলে

sub-editor

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার টাকা দিলে মাদকসহ সব সুযোগ-সুবিধা মেলে   আজগর আলি মানিক এর রিপোর্ট... বিস্তারিত

বিদেশে পালিয়ে যেতে বিমানবন্দরে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চট্টগ্রামের ‘সোনা চোরাচালানে’ অভিযুক্ত আবু আহমেদ ওরফে সোনা আবু।।।।।।।

বিদেশে পালিয়ে যেতে বিমানবন্দরে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চট্টগ্রামের ‘সোনা চোরাচালানে’ অভিযুক্ত আবু আহমেদ ওরফে সোনা আবু।।।।।।।

sub-editor

বিদেশে পালিয়ে যেতে বিমানবন্দরে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চট্টগ্রামের ‘সোনা চোরাচালানে’ অভিযুক্ত... বিস্তারিত