শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন: স্বাধীনতার ঘোষক থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার

শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন: স্বাধীনতার ঘোষক থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার

sub-editor    ০২:৫৬ পিএম, ২০২৫-০১-১৯    64


শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন: স্বাধীনতার ঘোষক থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার

"শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৯ তম জন্মদিন: স্বাধীনতার ঘোষক থেকে বহুদলীয় গণতন্ত্রের রূপকার"
-মো.কামাল উদ্দিনঃ
বাংলাদেশ তথা- বাংলাদেশীদের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ শহীদ জিয়াউর রহমান-স্বাধীনতার ঘোষক, বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনর্নির্মাতা ও বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী পথিকৃৎ
তিনি একজন ইতিহাসের এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। শহীদ জিয়াউর রহমান—একটি নাম, একটি ইতিহাস, এক মহাকাব্যের নায়ক। আমার শৈশবের স্মৃতির পাতায় জ্বলজ্বল করছে তাঁর স্মরণীয় মুহূর্তগুলো। ১৯৭৯ সালের এক বিকেলে, স্কুলের ছোট্ট আমি, হাতে ফুল নিয়ে ছুটেছিলাম চৌধুরীর হাটের জনসভায়। জানে আলম ভাইয়ের হাত ধরে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে প্রথম দেখি—উজ্জ্বল, দৃঢ়চেতা, আত্মবিশ্বাসে ভরপুর এক নেতা। রাজনীতি তখনো বুঝতাম না, কিন্তু তাঁর ব্যক্তিত্বের আকর্ষণ অনুভব করেছিলাম শিশুমনে।
সেই সময় আমাদের বোয়ালখালীতে এসেছিলেন রাষ্ট্রপতি জিয়া, এমপি সিরাজুল ইসলামের নেতৃত্বে কধুরখীলের মাঠে মানুষের ঢল নেমেছিল। তাঁর কণ্ঠে ছিল আত্মবিশ্বাস, চোখে ছিল দেশের স্বপ্ন, হৃদয়ে ছিল জাতির মুক্তির আকাঙ্ক্ষা। আজও মনে পড়ে সেই মুহূর্তগুলো—একজন মহান নেতার সান্নিধ্যে আসার আনন্দ।
আজ শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মদিন। তিনি শুধু একজন রাষ্ট্রনায়ক নন, তিনি বাংলাদেশের অস্তিত্বের এক অবিচ্ছেদ্য অধ্যায়। স্বাধীনতার ঘোষণা থেকে শুরু করে বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা—সবকিছুতেই তিনি ছিলেন অগ্রদূত। তাঁর আদর্শ, তাঁর নেতৃত্ব আজও কোটি হৃদয়ে জ্বলজ্বল করছে। সময়ের স্রোতে অনেক কিছু বদলেছে, কিন্তু ইতিহাসের পাতা থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছে যায়নি, যাবেও না। তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে আমরা এখনো আশায় বুক বাঁধি, প্রতীক্ষায় থাকি নতুন ভোরের। শহীদ জিয়াউর রহমান শুধু একজন ব্যক্তি নন, তিনি জাতির অনুপ্রেরণা, তিনি বাংলাদেশ! লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান বীর উত্তম: স্বাধীনতার ঘোষক ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রতিষ্ঠাতা- শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকী: এক দূরদর্শী নেতা ও বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি জন্ম নেওয়া লেফটেন্যান্ট জেনারেল শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম) ছিলেন এক দূরদর্শী নেতা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম শ্রেষ্ঠ রাষ্ট্রনায়ক। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব, দূরদর্শী পরিকল্পনা ও জাতীয়তাবাদী চেতনার ভিত্তিতে আজকের আধুনিক বাংলাদেশের ভিত্তি রচিত হয়েছে।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে তাঁর অসামান্য অবদান ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা রয়েছে। ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষে স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়ে তিনি সমগ্র জাতিকে মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ার আহ্বান জানান। মুক্তিযুদ্ধে তাঁর বীরত্বপূর্ণ অবদান এবং পরবর্তী সময়ে দেশ গঠনে তাঁর নেতৃত্ব বাংলাদেশের জাতীয় জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ।
জাতীয় পুনর্গঠনে জিয়াউর রহমানের অবদান
স্বাধীনতার পর যখন দেশ রাজনৈতিক অস্থিরতা, দুর্নীতি ও বৈদেশিক নির্ভরশীলতার শৃঙ্খলে আবদ্ধ ছিল, তখন রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান দায়িত্ব নিয়ে দেশকে পুনর্গঠনের কাজ শুরু করেন। তাঁর যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের মধ্যে ছিল: বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠা – তিনি একদলীয় শাসনের অবসান ঘটিয়ে জনগণের মতপ্রকাশের অধিকার নিশ্চিত করেন।
অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও শিল্পায়ন – কৃষি ও শিল্পখাতে বিপ্লব ঘটিয়ে তিনি বাংলাদেশকে আত্মনির্ভরশীলতার পথে এগিয়ে নিয়ে যান।
প্রেস ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা – তিনি সংবাদপত্র ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেন।
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ প্রতিষ্ঠা – তিনি দেশের মানুষের মধ্যে জাতীয় চেতনা ও দেশপ্রেমের বীজ বপন করেন। দক্ষিণ এশীয় সহযোগিতা বৃদ্ধি – তিনি SAARC-এর ধারণার অন্যতম প্রবক্তা ছিলেন এবং আন্তর্জাতিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করেন।
বেগম খালেদা জিয়া: জিয়ার আদর্শের যোগ্য উত্তরসূরি জিয়াউর রহমানের শাহাদাতের পর তাঁর রাজনৈতিক দর্শন ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখেন তাঁরই সহধর্মিণী বেগম খালেদা জিয়া। দেশের প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনি তিনবার রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করেছেন এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য একাধিকবার সংগ্রাম করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে:
বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও অবকাঠামো উন্নয়নে যুগান্তকারী পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছে।
বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থার আধুনিকায়ন হয়েছে। শিক্ষা ও নারীর ক্ষমতায়নে নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অগ্রগামী এই নেত্রীকে অন্যায়ভাবে নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে, তবু জনগণের ভালোবাসায় তিনি আজও জাতীয়তাবাদী শক্তির প্রতীক হয়ে আছেন।
তারেক রহমান: বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বের প্রতীক
বর্তমানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তাঁর পিতার রাজনৈতিক আদর্শ ও মায়ের নেতৃত্বগুণের সমন্বয়ে জাতীয়তাবাদী চেতনার অন্যতম প্রধান ধারক ও বাহক। তাঁর দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ও কৌশলী নেতৃত্বে বিএনপি আজ দেশের গণতন্ত্রকামী মানুষের প্রধান ভরসা।
বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ নেতৃত্বে তারেক রহমানের ভূমিকা অপরিহার্য। তাঁর নেতৃত্বে বিএনপি দেশকে গণতন্ত্রের পথে ফেরাতে, সুশাসন প্রতিষ্ঠা করতে এবং জনগণের মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ বাংলাদেশের জনগণ অপেক্ষায় আগামী নেতৃত্বের জন্য দেশের জনগণ আজ এক অনিশ্চিত সময় পার করছে। গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার, আইনের শাসন ও মৌলিক মানবাধিকার রক্ষার দাবিতে মানুষ জেগে উঠছে। শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শিক ভিত্তির উপর দাঁড়িয়ে আগামী দিনে বেগম খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশ নতুন এক রাজনৈতিক যুগে প্রবেশ করবে, এটাই দেশের আপামর জনগণের প্রত্যাশা। আজ শহীদ জিয়াউর রহমানের ৮৮তম জন্মবার্ষিকীতে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের সেই পথকে পুনরুদ্ধার করার শপথ নিতে হবে। তাঁর স্বপ্নের বাংলাদেশ গড়তে, তারেক রহমানের নেতৃত্বে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার অপেক্ষায় রয়েছে সমগ্র দেশ।
লেফটেন্যান্ট জেনারেল জিয়াউর রহমান (১৯৩৬-১৯৮১) বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একজন বীর সেনানায়ক, স্বাধীনতার ঘোষক, একজন দক্ষ সামরিক কর্মকর্তা এবং পরবর্তী সময়ে দেশের রাষ্ট্রপতি হিসেবে গণতান্ত্রিক শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার অন্যতম রূপকার ছিলেন। তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-র প্রতিষ্ঠাতা এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ধারণার প্রবর্তক ছিলেন। প্রারম্ভিক জীবন ও সামরিক ক্যারিয়ার জিয়াউর রহমান ১৯৩৬ সালের ১৯ জানুয়ারি বগুড়া জেলার বাগবাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর বাবা মনসুর রহমান ছিলেন কলকাতার একটি সরকারি বিভাগে কর্মরত একজন রসায়নবিদ। শৈশবে তিনি কলকাতার হেয়ার স্কুল-এ পড়াশোনা করেন, কিন্তু ১৯৪৭ সালে ভারত ভাগের পর তাঁর পরিবার করাচি চলে গেলে সেখানকার একাডেমি স্কুল থেকে মাধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৫৩ সালে তিনি করাচির ডিজে কলেজে ভর্তি হন এবং একই বছরে কাকুলের পাকিস্তান মিলিটারি একাডেমিতে অফিসার ক্যাডেট হিসেবে যোগ দেন। ১৯৫৫ সালে সেকেন্ড লেফটেন্যান্ট হিসেবে পাকিস্তান সেনাবাহিনীতে কমিশন লাভ করেন।
১৯৬৫ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের সময় তিনি খেমকারান সেক্টরে যুদ্ধ করেছিলেন এবং তাঁর অধীনস্থ কোম্পানি যুদ্ধক্ষেত্রে অসাধারণ বীরত্বের জন্য সর্বাধিক সংখ্যক বীরত্বের পদক লাভ করে। ১৯৭০ সালে তিনি অষ্টম ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্টের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড হিসেবে চট্টগ্রামে বদলি হন, যেখানে তিনি পরবর্তীতে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব ও স্বাধীনতার ঘোষণা
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ মধ্যরাতে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী অপারেশন সার্চলাইট নামে ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যা শুরু করলে, মেজর জিয়াউর রহমান পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন।
২৬ মার্চ তিনি কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন:
"আমি মেজর জিয়া, বাংলাদেশ লিবারেশন আর্মির পক্ষ থেকে স্বাধীনতা ঘোষণা করছি।"
এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সূচনা করেন এবং মুক্তিযোদ্ধাদের সংগঠিত করেন। জিয়াউর রহমান মুক্তিযুদ্ধের সময় সেক্টর ১ এবং পরবর্তীতে সেক্টর ১১-এর কমান্ডার ছিলেন। এরপর তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে Z ফোর্স (জেড ফোর্স) গঠন করেন এবং এর ব্রিগেড কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২৮ আগস্ট ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধের প্রথম বেসামরিক প্রশাসন প্রতিষ্ঠা করেন রৌমারীতে, যা ছিল এক ঐতিহাসিক ঘটনা। মুক্তিযুদ্ধে অসামান্য অবদানের জন্য তিনি "বীর উত্তম" খেতাবে ভূষিত হন।
রাষ্ট্রপতি হিসেবে নেতৃত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান সপরিবারে নিহত হলে রাজনৈতিক অস্থিরতা শুরু হয়।
এরপর ৭ নভেম্বর ১৯৭৫, সিপাহী-জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হন। ১৯৭৭ সালের ২১ এপ্রিল বিচারপতি সায়েম পদত্যাগ করলে জিয়াউর রহমান রাষ্ট্রপতি হন। রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসমূহ:
বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রবর্তন সংবিধানে "বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম" অন্তর্ভুক্তি
বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ ধারণার প্রবর্তন
প্রেস ও গণমাধ্যমের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠা
১৯ দফা উন্নয়ন কর্মসূচি প্রবর্তক, গ্রাম সরকার ব্যবস্থা চালু অর্থনৈতিক উন্নয়নে যুগান্তকারী পদক্ষেপ
জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়। তাঁর অর্থনৈতিক নীতিতে বেসরকারি খাতের বিকাশ, কৃষিতে ভর্তুকি, শিল্প পুনর্ব্যবস্থা, খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন এবং রপ্তানি খাতের উন্নয়ন বিশেষ গুরুত্ব পায়।
তাঁর আমলে: খাদ্য উৎপাদন রেকর্ড মাত্রায় বৃদ্ধি পায় প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের অর্থনীতি স্থিতিশীলতা অর্জন করে
শিল্পোন্নয়ন এবং অবকাঠামো উন্নয়নে ব্যাপক অগ্রগতি ঘটে
পররাষ্ট্রনীতিতে কৌশলী ভূমিকা জিয়াউর রহমান দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর সাথে আঞ্চলিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং মুসলিম বিশ্বের সাথে সম্পর্ক উন্নয়ন করেন।
তিনি:চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সাথে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপন করেন মুসলিম বিশ্বের সাথে সংহতি জোরদার করেন দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক) প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নেন
বাংলাদেশকে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অস্থায়ী সদস্য করেন ৭ নভেম্বর বিপ্লব ও সামরিক ষড়যন্ত্র
রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক সামরিক অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্র হয়।
তবে তিনি সেনাবাহিনীতে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। ১৯৮১ সালের ৩০ মে, চট্টগ্রামে এক সামরিক অভ্যুত্থানে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান নিহত হন।
উত্তরাধিকার ও স্মরণ
জিয়াউর রহমানের মৃত্যুর পর তাঁর স্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর নেতৃত্ব গ্রহণ করেন এবং তিনবার বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। জিয়াউর রহমানকে ঢাকার শেরেবাংলা নগরে সমাহিত করা হয়। তিনি আজও বাংলাদেশের অন্যতম প্রভাবশালী রাজনৈতিক নেতা হিসেবে গণ্য হন এবং তাঁর নীতি ও দর্শন দেশের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলে।
জিয়াউর রহমান শুধু একজন রাষ্ট্রপতি বা সামরিক কর্মকর্তা ছিলেন না, তিনি ছিলেন বাংলাদেশের ইতিহাসের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশ স্বাধীনতা-উত্তর অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথে এগিয়ে যায়, বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয় এবং বাংলাদেশের নতুন জাতীয়তাবাদী চেতনা জন্ম নেয়। তাঁর রাজনৈতিক, সামরিক এবং অর্থনৈতিক অবদান বাংলাদেশের ইতিহাসে চিরস্মরণীয় হয়ে থাকবে। লেখকঃ
যুগ্ম সম্পাদক-দৈনিক ভোরের আওয়াজ ওThe Daily banner, গবেষক, এবং টেলিভিশন উপস্থাপক।


রিটেলেড নিউজ

চট্টগ্রামের কসাই লেদুর  আলিশান খাওয়া-দাওয়া  চট্টগ্রাম কারাগারে।

চট্টগ্রামের কসাই লেদুর আলিশান খাওয়া-দাওয়া চট্টগ্রাম কারাগারে।

sub-editor

চট্টগ্রামের কসাই লেদুর  আলিশান খাওয়া-দাওয়া  চট্টগ্রাম কারাগারে।  বিস্তারিত আজগর আলি মানিক... বিস্তারিত

স্বৈরাচার সরকারের আমলে। সবচাইতে বেশি নির্যাতিত আমি ।

স্বৈরাচার সরকারের আমলে। সবচাইতে বেশি নির্যাতিত আমি ।

sub-editor

স্বৈরাচার সরকারের আমলে একাধিক মামলা আসামি হয়ে   কারাগারে ছিলাম আমি সবুজ।  দলের জন্য  কর্মী... বিস্তারিত

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার টাকা দিলে মাদকসহ সব সুযোগ-সুবিধা মেলে

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার টাকা দিলে মাদকসহ সব সুযোগ-সুবিধা মেলে

sub-editor

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার টাকা দিলে মাদকসহ সব সুযোগ-সুবিধা মেলে   আজগর আলি মানিক এর রিপোর্ট... বিস্তারিত

বিদেশে পালিয়ে যেতে বিমানবন্দরে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চট্টগ্রামের ‘সোনা চোরাচালানে’ অভিযুক্ত আবু আহমেদ ওরফে সোনা আবু।।।।।।।

বিদেশে পালিয়ে যেতে বিমানবন্দরে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চট্টগ্রামের ‘সোনা চোরাচালানে’ অভিযুক্ত আবু আহমেদ ওরফে সোনা আবু।।।।।।।

sub-editor

বিদেশে পালিয়ে যেতে বিমানবন্দরে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চট্টগ্রামের ‘সোনা চোরাচালানে’ অভিযুক্ত... বিস্তারিত

সোচ্চার

সোচ্চার

sub-editor

সোচ্চার """""""""""" ছাত্র ছাত্রী আমরাই বীর হব'না জীবনে দম্য ধীর পেলাম যাদের শিক... বিস্তারিত

শাফায়াত হোসেন সোহাগ ও তার সহযোগীরা কোটি টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ।

শাফায়াত হোসেন সোহাগ ও তার সহযোগীরা কোটি টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ।

sub-editor

শাফায়াত হোসেন সোহাগ ও তার সহযোগীরা কোটি টাকা নিয়ে নিরুদ্দেশ। ইউরোপ নেবার কথা বলে কোটি কোটি টা... বিস্তারিত

সর্বশেষ

চট্টগ্রামের কসাই লেদুর  আলিশান খাওয়া-দাওয়া  চট্টগ্রাম কারাগারে।

চট্টগ্রামের কসাই লেদুর আলিশান খাওয়া-দাওয়া চট্টগ্রাম কারাগারে।

sub-editor

চট্টগ্রামের কসাই লেদুর  আলিশান খাওয়া-দাওয়া  চট্টগ্রাম কারাগারে।  বিস্তারিত আজগর আলি মানিক... বিস্তারিত

স্বৈরাচার সরকারের আমলে। সবচাইতে বেশি নির্যাতিত আমি ।

স্বৈরাচার সরকারের আমলে। সবচাইতে বেশি নির্যাতিত আমি ।

sub-editor

স্বৈরাচার সরকারের আমলে একাধিক মামলা আসামি হয়ে   কারাগারে ছিলাম আমি সবুজ।  দলের জন্য  কর্মী... বিস্তারিত

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার টাকা দিলে মাদকসহ সব সুযোগ-সুবিধা মেলে

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার টাকা দিলে মাদকসহ সব সুযোগ-সুবিধা মেলে

sub-editor

চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার টাকা দিলে মাদকসহ সব সুযোগ-সুবিধা মেলে   আজগর আলি মানিক এর রিপোর্ট... বিস্তারিত

বিদেশে পালিয়ে যেতে বিমানবন্দরে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চট্টগ্রামের ‘সোনা চোরাচালানে’ অভিযুক্ত আবু আহমেদ ওরফে সোনা আবু।।।।।।।

বিদেশে পালিয়ে যেতে বিমানবন্দরে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চট্টগ্রামের ‘সোনা চোরাচালানে’ অভিযুক্ত আবু আহমেদ ওরফে সোনা আবু।।।।।।।

sub-editor

বিদেশে পালিয়ে যেতে বিমানবন্দরে গিয়েও শেষ রক্ষা হলো না চট্টগ্রামের ‘সোনা চোরাচালানে’ অভিযুক্ত... বিস্তারিত